,

এই সময়ে ত্বক শুষ্ক ? গোসলের পর ব্যাবহার করবেন যে তেল

সময় ডেস্ক : শীত যতই ঘনিয়ে আসছে, ত্বকও তত শুষ্ক হতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ত্বকের সঠিক পরিচর্যা খুবই জরুরি। গোসলের পরে, কখনও কখনও এমনকি ময়েশ্চারাইজারও ত্বকে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা দিতে সক্ষম হয় না। সেক্ষেত্রে বাড়িতে রাখা কয়েকটি তেল ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ত্বককে নরম ও চকচকে করে। গোসলের পর যেসব তেল লাগানো উপকারী-
বাদাম তেল- সব ধরনের ত্বকেই বাদামের তেল লাগানো যায়। গোসলের পর এই তেল শরীরে লাগালে ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষ্মতা দূর হয়। চাইলে গোসলের সময় ত্বক পরিষ্কার করার জন্য বাদাম তেলে বাদামি সুগার মিশিয়েও বডি স্ক্রাব তৈরি করতে পারেন। এছাড়া এই তেল এমনিও লাগানো যায়।
জলপাই তেল বা অলিভ অয়েল- অলিভ অয়েল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য বিশেষভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই তেল ফাটা ত্বক নিরাময় করে, ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং কাপড় লাগালে ত্বকে যে চুলকানি অনুভূত হয় তাও চলে যায়। মেকআপ তুলতে এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর করতেও এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।
নারকেল তেল- নারকেল তেল সহজেই ত্বক দ্বারা শোষিত হয়, যার কারণে এটি শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পেতে সেরা তেলগুলির মধ্যে একটি। এর অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ত্বকের সমস্যাও দূরে রাখে। তাই এই তেল শরীরে লাগাতে পারেন। তবে মুখে লাগানোর দরকার নেই, হাত, পা ও শরীরের অন্যান্য অংশে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, যদি ব্রণ এবং খুব তৈলাক্ত ত্বক থাকে তবে এই তেলটি এড়িয়ে চলুন।
সূর্যমুখী বীজের তেল- সূর্যমুখী বীজের তেল শরীরে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এই তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই পাওয়া যায়, যা ত্বকের জন্য খুবই ভালো এবং ত্বকের যত্নের প্রসাধনী হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া সূর্যমুখীর বীজ ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার জন্যও ভালো।


     এই বিভাগের আরো খবর